শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ॥ ৩ হাজার পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায়

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ দ্বার বলে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো: মোস্তাফিজুর রহমান বিআইডব্লিউএ’র স্থানীয় কর্মকর্তা ,থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশকে সাথে  নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে । প্রথম দিনে বুধবার সকালে ম্যাজিট্রেট মো:মোস্তাফিজুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিদের বলেন যে সমস্ত স্তাপনা ঘাটে বিশ্রি অবস্থায় ও নদীতে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে তা উচ্ছেদ করা হবে ।কিন্ত দুদিনের এ অভিযানে নির্বিচারে ঘাটের সব দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে আর এতে করে হাজার হাজার পরিবারে স্বপ্ন দুমরে মুচরে দিয়েছে বিআইউব্লিউটিএর ভাংগার কাজে ব্যাবহীত ভেকু । ঘাটে নির্বহী ম্যাজিট্রেট এ সময়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা প্রায় তিন শতাধীক স্থাপনা উচ্ছেদ করে এসময়ে বাদ যায়নি সি-বোট ঘাট সংলগ্ন মসজিদের অজুখানা ও বাথরুমটিও ।আর এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ফলে ঘাটের সাথে ভিবিন্ন ভাবে সংশ্লিস্ট প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ভব্যিষত অনিশ্চয়তার মুখে পরেছে। আর এতে করে এর বিরুপ প্রভাব পরবে এ নৌ-রুট ব্যাবহার করে চলাচলরত যাত্রীদের উপর ।ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান ঘাটে হোটেল রেস্টুরেন্টসহ নানা ধরনের দোকানপাট ছিলো আর এসব দোকান থেকেই এ রুট দিয়ে চলাচলরত লোকজন খাবার দাবারসহ বিভিন্ন পন্য কেনা কাটা করতো । গনহাড়ে উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ঘাটে কোন প্রাকার দোকানপাট না থাকায় এ নৌ-রুটের যাত্রীসহ যানবাহন চালক ও মালিকরা পরেন চরম ভোগান্তিতে এ সময়ে একাধীক ট্রাক ও পরিবহন চালকদের সাথে কথা বলে জানাযায় অনেকেই ৪ থেকে ৫ দিন ধরে শিমুলিয়া ঘাটে আছে ফেরী পারাপারে অপেক্ষায় । তারা কোন কিছু ক্ষেতে না পেয়ে ঘাট থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রেরবাড়ী বাজারে যেয়ে রুটি ও শুক্ন খাবার ক্ষেয়ে কোন রকম সময় পার করছে ।

এদিকে গতকাল বিকেলে মসজিদের অজুখানা বাথরুমসহ বেশকটি স্থাপনা ভেকুদিয়ে ভেঙ্গে ফেলার সময়ে উত্রেজিত বিক্ষুদ্ব জনতা একটি প্রাইবেটকার ও ২ টি যানবাহন ও বিআইডব্লিউটিএর স্থাপনার জানালার কাছ ভাংচুর করে এ সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলী ছোঁড়ে । এতে কোন হতাহতের ঘটনা না থাকলেও এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে মো: অহিদ নামের লঞ্চ ঘাটের এক সুপারভাইজারকে ১৫দিনের কারাদন্ড প্রদান করে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো: মোস্তাফিজুর রহমান ।পরে ভাংচুর ও সরকারীকাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর এক সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা করে।এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া নদী বন্দরের বন্দর কর্মকর্তা মো:শাহ আলম মিয়া জানান দুদিনের অভিযানে প্রায় তিন শতাধীক দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে ,এ সময়ে তাকে জনদুর্ভোগ ও মসজিদের অজুখানা ভাংগার প্রশ্নটি তুলতেই তিনি মোবাইলের লাইনটি কেটে দেয় । পরে কয়েক দফায় তাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি । এ সময়ে শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএর অপর এক উপপরিচালক এসএস আজগর আলীকে মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন সব অবৈধস্থপনা উচ্ছেদ করা হবে, নদীতে অবৈধ ড্রেজারগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে এ সময়ে ঘাটের চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীরে দুর্ভোগের কথা বলে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও মোবাইল ফেনটি কেটে দেন । এর পরে তাকে ফোন দিয়েও আর পাওয়া যায়নি ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ